ভালোলাগার ভালোলাগা



 ঝুম বৃষ্টি, কি যে মিষ্টি! 

এশার নামাজপড়ে বেলকনিতে গেলাম। খুব গরম লাগতেছে। চারতলা থেকে নিচের দিকে তাকাতেই চমকে গেলাম। আরে, রাস্তায় ফোঁটা ফোঁটা জল কেন! ডানে-বামে তাকলাম, পুরো রাস্তা ফাঁকা। দু'একটা প্রাইভেট কার আসছে তো- দ্রুত ছুটছে। পিচঢালা রাস্তায় পানির ফোঁটাগুলো চিকচিক করছে। আকাশের দিকে তাকাতেই হৃদয়ে ঢেউ খেয়ে গেলো। এ-যে বৃষ্টি নামতেছে! লোহার গ্রিলের ভিতর দিয়ে হাতদুটো বাহিরে বাড়িয়ে দিলাম। মুক্তোসম বৃষ্টির ফোঁটাগুলো, হাতদুটো চুমতে লাগলো। হিমশীতল বৃষ্টির ফোঁটার ছোঁয়ায়, বদনে কি-এক অনুভূতি সৃষ্টি হলো। একেক বৃষ্টির ফোঁটায়, হাতের লোমগুলো শরীরের সাথে লেপ্টে যাচ্ছে। অপলক তাকিয়ে আছি আমি। হাতকে ছুঁয়ে দেয়া প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা, যেন হৃদয়কে ছুঁয়ে দিচ্ছে। ঝুম বৃষ্টির ছোঁয়ায়, বড়বড় বিল্ডিংগুলো চিকচিক করছে। মনে হয়, তারাও আমার মতো পুলকিত। নিচে তাকিয়ে দেখি, ছাতামাথায় একজন হেঁটে যাচ্ছে। দুতলার মাথা ছুঁয়েছে— নিমগাছটার পাতাগুলো বৃষ্টির ফোঁটায় আলতো দুলছে। সেই সাথে, জ্বলজ্বল করে উঠেছে। পার্শ্বের বিল্ডিং-এর দেয়াল বেয়েপড়া, বৃষ্টির ফোঁটাগুলো, বাতির আলোয় খশেপড়া তারার মতো ছুটছে। পশ্চিমাকাশে— থেকে থেকে ঈষৎ বিজলী চমকাচ্ছে। সবমিলিয়ে চারদিকের পরিবেশকে, খুব মায়াময় লাগছে। ফুলের টবগুলোতে যেন, থোকা-থোকা ভালোলাগা ফলেছে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ফুটপাতে শুয়ে থাকা লোকটাও মানুষ। সুতরাং তাকে দেখে নাক ছিটকাবেন না।

স্মৃতিগুলো আজ মনের গহীনে লুকিয়ে আছে...

শৈশবের সেই নির্মল আনন্দ, কৈশোরের দুরন্তপনা, আর তারুণ্যের দুঃসাহসী স্বপ্ন—সব মিলিয়ে এক মায়াবি জগতের মধ্য দিয়ে এসেছি। কত আশা, কত স্বপ্ন, কত অভ...

জনপ্রিয়গুলো দেখুন