আস্তিক

 আমরা দুঃখ-কষ্টের উদরে জন্ম নেয়া মানব সন্তান। তোমরা সুখসাচ্ছন্দ্যের ছায়াতলে বেড়েওঠা মানুষ্যপুত্র। দুঃখ-কষ্ট আর যাতনা আমাদের মাতৃকোল। কষ্ট তো ঈশ্বরের ছায়া; মৃত্যু হৃদয়ের চারণভূমিতে যা চাষ করা যায় না। আমরা বেদনাকাতর আত্মা নিয়ে বেড়েওঠি; আর বেদনা তো অনেক ভাড়ী পদার্থ। ক্ষুদ্র হৃদপিণ্ড যার ভারত্ব বহন করতে পারে না। আমরা অনবরত চোখ দিয়ে রক্ত ঝরাই। চিৎকার করে বিলাপ করি। আমাদের অশ্রুজলে যারা একবার স্নান করবে— আজন্ম শুদ্ধতার পরশ অনুভব করবে। তোমরা আমাদের ইতিকথা, পরিচয়-পরিচিতি জানো না। তবে আমরা তোমাদের চিনি। তোমরা তো জীবনচক্রের নদীতে দ্রুতই আবর্তিত হও। পিছন ফিরে একবারও তাকাও না— আমরা কোথায়। নদীর কূলে বসে আমরা তোমাদের দেখতে পাই। শুনি তোমাদের হৃদয়ের ফিসফিসানী। তোমরা ভ্রুক্ষেপ করো না আমাদের আত্ম চিৎকারের প্রতি; কারণ কালের ড্রেজারের আওয়াজ ভরে দিয়েছে তোমাদের কর্ণকুহর। আমরা শুনি অবেলায় তোমাদের গান। নিঃসীম রজনীর স্পষ্ট সুর লহরি উজার করে দিয়েছে আমাদের কর্ণ দেয়াল। আমরা তোমাদের দেখি। তোমরা দাঁড়িয়ে আছো অন্ধকারাচ্ছন্ন নিবিড় কুহেলিকায়। আমরা বাসকরি আলো ঝলমলে আঁধারের পৃথিবীতে। তোমরা আমাদের দেখবে কি করে! আমরা দুঃখিনী মায়ের সন্তান। আমরা আম্বিয়া। আমরা উন্মাদ করি। কালের গিটারে মিউজিক বাজিয়ে চলি সারাকাল। আমরা আপন হৃদয়ের সুতোয় গেঁথে চলি ঈশ্বরের জামা। হৃদয়ের বুনোফুল দিয়ে ভরে দেই ফেরেশতাদের অঞ্জলি। তোমরা তো আনন্দ-উল্লাসে, উদাসীনতার বুক চিরে জন্মানো— জাগ্রত ভোগের প্রভু! নিজেদের বুক ফেঁড়ে, হৃদপিণ্ড বের করে, মেলে ধরো নির্জনতার কাছে। কারণ নির্জনা প্রেমিকার হাত বড় কোমল! অজ্ঞতার দীক্ষা নিয়ে আনন্দকে খুঁজে বেড়াও। অজ্ঞতার তাজমহল তো আয়না থেকে শূন্য। কীভাবে দেখবে নিজেদের শুঁয়ো মুখো চেহারা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ফুটপাতে শুয়ে থাকা লোকটাও মানুষ। সুতরাং তাকে দেখে নাক ছিটকাবেন না।

স্মৃতিগুলো আজ মনের গহীনে লুকিয়ে আছে...

শৈশবের সেই নির্মল আনন্দ, কৈশোরের দুরন্তপনা, আর তারুণ্যের দুঃসাহসী স্বপ্ন—সব মিলিয়ে এক মায়াবি জগতের মধ্য দিয়ে এসেছি। কত আশা, কত স্বপ্ন, কত অভ...

জনপ্রিয়গুলো দেখুন