রাস্তার সস্তা জীবন
যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচে ধুলোর স্তুপে একব্যক্তিকে ঘুমন্ত দেখে— হাঁটি হাঁটি পায়ে লোকটার কছে আসলাম। গভীর ঘুমে ডুবে আছে। ধুলোমলিন ঝাঁকড়া চুল। কয়েকটা জটবেঁধে আছে। ধুলোয় মিশ্রিত ফুলপ্যান্ট পরিহিত। বেল্ট হিসেবে কোমরে একটা রশি বেঁধে নিয়েছে। লাল হাফহাতা গেঞ্জি পরেছে; সেটাও ধুলোবালির মিশ্রণে সেটাও খয়েরী হয়েছে। আমি আরও কাছে এলাম। এক্কেবারে কাছে এলাম। হালকা কৃষ্ণবরণ অবয়ব। দাঁড়ি আর গোঁফে চেহারাটা ঢেকে আছে। চেহারায় পাগলামি ও মাতলামির কোন ছাপ নেই। আশেপাশে কোন পুটলিও নেই। পঞ্চাশ, ষাট গজ বামে ময়লার স্তুপ। গাড়ীর বাতাসের ঝাপটায় দুর্গন্ধ ভেষে আসছে। ডানদিকেও একই অবস্থা। এর মাঝেও লোকটা বেশ আরামে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে। মনে হচ্ছে, ঘামঝরা পরিশ্রম করে, ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে শুয়ে আছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই ব্যস্ত শড়কের যান্ত্রিক কোলাহলে, জীবনের অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতেও ঘুম কিভাবে এতোটা গভীর হয়!
Ahmed's Diary থেকে সংগ্রহীত
বারো/নয়/বাইশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন